শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ছাড়া আর কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজি প্রিজনসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নাজমুল মৃধার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহ হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
শুনানির সময় হাইকোর্ট বলেন, 'ডান্ডাবেড়ি নিয়ে গাইডলাইন দেয়া হবে, মানুষকে রক্ষা করতে হবে, পত্রিকায় নামের জন্য শুধু রুল দিতে চাই না।'
এরপর নির্দেশনা দেন এবং গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ মার্চ রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়লেন ছাত্রদল নেতা।
খবরে বলা হয়, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা শাখার ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাজমুল মৃধা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তার বাবা মোতালেব হোসেন মৃধার (৬২) জানাজায় অংশ নিয়েছেন। জানাজার সময় কারা কর্তৃপক্ষ নাজমুলের হাতকড়া খুলে দিলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়নি। নাজমুল পুলিশকে তার ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি।
নাজমুলকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার বা আটক ব্যক্তিদের বেআইনিভাবে হাতকড়া ও বেড়ি পরানো বন্ধ করতে এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করতে বলে সুপ্রিম কোর্টের দশজন আইনজীবী সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন। Source : tbnews.com