নিরাপত্তার আল্টিমেটাম, বান্দরবানে আইজিপি

নিরাপত্তার আল্টিমেটাম, বান্দরবানে আইজিপি

আমিনুল ইসলাম খন্দকার, বান্দরবান থেকে: 


বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ভল্টে থাকা সব টাকা অক্ষত আছে, ব্যাংকের শাখা থেকে কোনো টাকা লুট হয়নি। 

 বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ এইই তথ্য জানান।

সিআইডির চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ইউনিটের দুটি দল রুমায় গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। 


মঙ্গলবার রাখা রুমায় সোনালী ব্যাংকের ভল্টে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। চাবির কারণে এ টাকা নেয়া যায়নি।  তিনি বলেন, দুটি চাবি একসঙ্গে দিয়ে ভল্ট খুলতে হয়। কোনো কারণে অস্ত্রধারীরা হয়তো ভল্ট খুলতে পারেনি।


ইতিপূর্বে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজার থেকে পিবিআইয়ের ৫ সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে।


মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতির ঘটনার পর বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।


সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ প্রধান বলেন, বান্দরবানে এসেছি, কাল রাতে জঘন্য  যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কী হয়েছে তা জানার জন্য এসেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি, আমাদের লোকজনের উপর আক্রমণ হয়েছে, মসজিদে তারা আক্রমণ করেছে, আনসার ক্যাম্পে তারা আক্রমণ করেছে, পরবর্তীতে অস্ত্র নিয়ে গেছে।


এদিকে, আইজিপি যখন রুমা পরিদর্শনে ছিলেন তখন দিনদুপুরে থানচিতে সোনালী  ও কৃষি  ব্যাংকে হামলা চালায় করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা  জানতে চাইলে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা একটু আগেই বিষয়টি শুনেছি। আমরা সতর্ক ছিলাম বলেই তারা এসে পালিয়ে গেছে। 


এদিকে, বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রকাশ্যে সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে প্রবেশ করে মুসল্লিদের মোবাইল ছিনতাই, পুলিশ—আনসার এর অস্ত্র লোট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরনের প্রতিবাদে বুধবার বান্দরবান পার্বত্য জেলার বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চ এর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।


বিক্ষোভ সমাবেশে  অগামী তিন দিনের মধ্যে  ব্যাংক ম্যানেজারকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া, ছিনতাইকৃত অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন বক্তারা।


রুমা উপজেলার সকল সরকারি কর্মচারীদের বেতন দ্রুত সময়ের মধ্যে রুমায় পৌছে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। 

পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল সেনা ক্যাম্প পুর্নস্থাপন ও পার্বত্য জেলা পুলিশকে হেলিকপ্টার প্রদান করার দাবী জানানো হয় সমাবেশে।


পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ শাহজালাল এর সঞ্চালনায় ও বান্দরবান জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারন সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছার, পৌর সভাপতি সামশুল হক সামু, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সাধারন সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি জমির উদ্দিনসহ  জেলা উপজেলা ও পৌর শাখার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।