ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানি ঘিরে দুই মন্ত্রণালয়ের বিরোধ
ব্রাজিল দিতে চায় গরুর কাটা মাংস আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেতে ইচ্ছুক জীবন্ত গরু। কিন্তু এর কোনোটাই চাচ্ছে না প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। দেশে প্রাণিজ আমিষ জোগানের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানটির দাবি, গো-মাংসের চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি। তাই আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। খামারিরা বলছেন, সরকারের উচিত গো-খাদ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা। তাহলে দেশেও সস্তায় মাংস উৎপাদন সম্ভব হবে।
গেল ৭ মার্চ ঢাকায় সফরত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এসময় গরুর মাংস রপ্তানির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে ব্রাজিল। সঙ্গে কুরবানির ঈদকে ঘিরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাচ্ছে জীবন্ত গরুর আমদানির সুযোগ।
গরুর কাটা মাংস কিংবা জীবন্ত গরু আমদানি হতে পারে দেশে। এমন খবরে কপালে চিন্তার হাত প্রান্তিক খামারিদের। তাদের দাবি, এরকম হঠকারী সিদ্ধান্তে নিঃস্ব হবেন তারা। এক খামারি বলেন, অনেক যুবক পড়াশোনা শেষে চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হয়েছেন। ডেইরি শিল্পে এসেছেন। গরু পালন ও মাংস উৎপাদন করছেন। এখন যদি বাইরে থেকে আনা হয়, তাহলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো।
তবে গরু ও গরুর মাংস আমদানির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে কিছুই জানায়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলে দাবি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক রেয়াজুল হকের। তিনি জানান, বাংলাদেশ গরুর মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতি কুরবানির ঈদে অবিক্রিত থাকে কয়েক লাখ গরু। রেয়াজুল হক বলেন, গত কুরবানিতে ২০ লাখ বড় পশু অবিক্রিত থাকে। এ সবাই জানেন। এক্ষেত্রে লুকানোর কিছু নেই। ফলে আমদানির সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনও বলছে, একই কথা। সংগঠনটির সভাপতির আহ্বান, গো-মাংস আমদানির মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত না নিয়ে, বরং সস্তায় গো-খাদ্য সরবরাহে নজর দেয়া উচিত সরকারের।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০২৩ সালে ১ কোটি ৪ লাখ কুরবানির প্রাণির চাহিদার বিপরীতে জোগান ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ।
সুত্রঃ www.channel24bd.tv