চবি প্রশাসনের অবহেলায় শতশত শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ!
নাজমুস সাকিব হৃদয়,
চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটে ৩শ ৫টি আসন ফাঁকা রেখেই চলছে ২০২২-২৩ সেশনের ক্লাস। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে কয়েকশত শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের দাবি তারা তাদের ন্যায্য অধিকার (৭ম মেরিট লিস্ট ) আদায় করতে চায়।
যেখানে প্রতিবছর লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে। প্রথমবার সুযোগ না পাওয়া হাজারো শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিয়ে সেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আশার আলো দেখিয়েছিল। কিন্তু শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও প্রশাসনের অবহেলায় স্বপ্ন দেখা অনেক শিক্ষার্থী একেবারেই মুষড়ে পড়ছেন। ৩শর বেশি আসন ফাঁকা রেখেই ক্লাস চলছে নতুন সেশনের। এতে শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে পোহাতে হচ্ছে অনিশ্চয়তার ধকল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অবহেলায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্নভগ্ন এবং ভবিষ্যত নিয়ে হতাশা বাড়ছে। তাদের দাবী পরিতর্তী মেধা তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা হলে তারা তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতে পারবেন।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে একটি স্মারকলিপি চবি প্রশাসনের কাছে দিতে গেলে প্রশাসন সেটি গ্রহন করতে অসম্মতি জানায়।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তৌসিফ বলেন, আমরা একটি স্মারকলিপি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হই কিন্তু প্রশাসন সেটি গ্রহন করেনি। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে প্রশাসনের কাছে যাই, কিন্তু প্রশাসন আমাদের তোয়াক্কা করে নি। তারা বলেন, যেহেতু ৩০৫ টি আসন ফাঁকা রয়েছে প্রশাসন যদি আমাদের কথা চিন্তা করে আর একটি মেরিট লিস্ট দেয় তাহলে আমরা আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে পারবো।
এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, 'সবাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়। এতগুলো সিট খালি রাখার মধ্যে কোনো ক্রেডিট নেই। আমার মনে হয় পরবর্তী মেধা তালিকা প্রকাশ করলে ভালো হয় যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে চায়।'
পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস এম আকবর হোসাইন বলেন, 'নতুন মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে কিনা সেটি এখন বলতে পারছি না। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' মিটিং কখন হবে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।