সাকিবদের হাতে ধবলধোলাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড
‘হোয়াইটওয়াশ চাই!’ আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আসা বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের মুখে ছিল এই একটাই স্লোগান। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তবে ওই দুই জয়ই বাড়িয়ে দিয়েছিল সমর্থকদের প্রত্যাশা।
আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৫৮ করার পর ম্যাচটি জেতার জন্য আসলে বোলারদের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তাসকিন-মোস্তাফিজরা হতাশ করেননি। ইংল্যান্ড থেমে যায় ৬ উইকেটে ১৪২ রানেই। ১৬ রানে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজে ধবলধোলাই করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অভিষিক্ত তানভীর ইসলামের জোরের ওপর করা বাঁহাতি স্পিন কবজির মোচড়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন ডেভিড ম্যালান। আট ছুঁই ছুঁই রান রেটের ম্যাচে বাংলাদেশ দলের বোলারদের শুরু থেকেই চাপে রাখার বার্তাই ছিল সেটি। তবে সে ওভারে ফিল সল্টকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তানভীর। তাসকিন আহমেদের করা পরের ওভারেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারির এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন ম্যালান। কিন্তু রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যান এই বাঁহাতি।
এরপর অবশ্য রানের গতি কমেনি। জস বাটলারকে নিয়ে ম্যালান পাওয়ারপ্লেতে ৪৭ রান যোগ করেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ৯৫ রান। ম্যালান ৪৭ বল খেলে ৫৩ রানের ‘অ্যাংকর’ ইনিংস খেলেন ১১২ স্ট্রাইক রেটে। ইনিংসের ১৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের ১০০তম টি-টোয়েন্টি ছিল সেটি।
ইংল্যান্ডের রান তখন ২ উইকেটে ১০০। আর কোনো রান যোগ করার আগেই ইংল্যান্ড হারায় আরেক থিতু ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে। ৩১ বল খেলে ৪০ রান করা বাটলারকে ঠিক পরের বলেই রানআউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রতিপক্ষ দলের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যানের বিদায় জাগিয়ে তোলে মিরপুর স্টেডিয়ামকে। সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকা ইংল্যান্ড জোড়া উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপের মুখে পড়ে।