মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করলো বায়রা

মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করলো বায়রা

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছে বায়রার নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, এই শ্রমবাজার নিয়ে সংবাদপত্রে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বায়রা। সেখানে নেতারা এমন দাবি করেন। 


এসময় বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার বলেন, যারা টাকা দিয়েছে তাদেরকে ডেকে আনার জন্য আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিব। তারা অফিসে এসে তালিকায় নাম লেখাবে। তারপর আমরা সেই সব এজেন্সির কাছ থেকে টাকা আদায় করে দিব। তারা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছে আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দিব। 

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, মিডিয়াকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে লবিং করে দেশের জন্য ক্ষতিকর সব মিথ্যা রিপোর্ট প্রচারের ব্যবস্থা করছেন। ৩০ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার ই-ভিসা ইস্যু করায় এজেন্সিগুলোর পক্ষে কতসংখ্যক কর্মী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় গমন করবে সেই সম্পর্কে আগে থেকে সঠিক ধারণা করা সম্ভব হয়নি। এজন্য অগ্রিম বিমান টিকেট সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল না এবং শেষ মূহুর্তে বিমান / কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পাওয়া যায়নি।

এসময় আরও দাবি করা হয়, কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো এজেন্সি দুর্নীতি বা অনিয়ম করেনি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোবারক উল্লাহ শিমুল বলেন, একেবারে শেষ মূহুর্তে, এমনকি ৩০ মে পর্যন্ত যে সকল কর্মীর ই-ভিসা এবং বিএমইটি'র ছাড়পত্র পেয়েছেন তারা বিমান টিকেট এর স্বল্পতার কারণে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। সুতরাং এখানও কোনো অনিয়ম হয়নি। এদের সংখ্যা সর্বসাকূল্যে ৫/৬ হাজারের বেশি হবে না। ওই সকল কর্মীদের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহ এমনকি দুবাই, কাতার, চীন পর্যন্ত হয়ে চড়া দামে টিকেট সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ৫ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে এটা ঠিক নয়। এক থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি কেউ নেয়নি। 

সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন বলেন, সংখ্যাটা আমরা যা মনে করি, সরকার যা মনে করে তাতে তো পার্থক্য আছে। ১৬/১৭ হাজার কর্মী এক দিনে যেতে পারে। এটা শুরু হয়েছে ২০২২ সালে। এটা আজকের ১৭ হাজার না, এটা ২২ মাসের ১৭ হাজার।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মহাসচিব বেনজীর আহমেদ বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য লে. জে (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, বায়রার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সুত্রঃ dhakamail.com