ফিলিস্তিদের হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে চবিতে সংহতি সমাবেশ
চবি প্রতিনিধি
নিরীহ ফিলিস্তিনি বাসীদের উপর নৃশংস গণহত্যা,নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)শহিদ মিনারে সংহতি সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১৫ অক্টোবর (রবিবার)সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদে সংহতি ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংহতি সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ''তাকবির তাকবির''ধ্বনিতে ক্যাম্পাস প্রকঙ্কিত করে।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন,এই ইজরায়েল দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের হত্যা করে আসছে।জায়োনবাদের অবসান না হলে এই পৃথিবীতে কখনো শান্তি বিরাজ করবে না।
বিশ্বব্যাপী সকল গুপ্তহত্যা,শিশু নির্যাতন ও নারী ধর্ষনে জড়িত এই ইহুদি জনগোষ্ঠী এবং তাঁদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
ইহুদিদের অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিন থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে হবে।
মুসলিমদের প্রথম কিবলা (আল আকসা)আমাদের অহংকার। আল আকসা রক্ষা করা আমাদের ইমানী দায়িত্ব।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন,আজকের সংহতি সমাবেশে উপস্থিত সকলকে ইজরায়েলি পন্য বয়কটের ডাক দিতে হবে।সারা বিশ্বে আমাদের এ আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।মুসলিম বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।যে কারণে ওআইসি তৈরী করা হয়েছিলো তাঁর কার্যক্রম দৃশ্যমান করার উপযুক্ত সময় এসেছে।
১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী হাফিজ মুজাহিদ বলেন,ইজরায়েলকে এই হত্যাযজ্ঞে যুগ যুগ ধরে সহযোগিতা করে আসছে আমেরিকা ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত এই কর্মকান্ডে।
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে এক যোগে এই জায়োনবাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে হবে।হত্যাযজ্ঞের বিচার করতে হবে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে।
নেতানিয়াহুকে অবরুদ্ধ করতে হবে।
সমাবেশে সর্বশেষ বক্তব্যে সৈয়দ আহমেদ শিহাব বলেন,ইহুদিরা আমাদের অসংখ্য নবী-রাসুল ও মুমিনদের হত্যা করেছে। পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশী পাসপোর্টে Except Israel বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়া আরও বলেন,ইহুদিদের ইতিহাস বিতারিতময়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও ইহুদিরা স্থায়ী জায়গা পায়নি।
ফিলিস্তিনি মুসলিমদের স্থায়ী মুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জায়োনবাদ নিপাত করতে হবে।
সালমান সাকিব