হাইকোর্টের আদেশে ভোটের মাঠে রিন্টু আনোয়ার

হাইকোর্টের আদেশে ভোটের মাঠে রিন্টু আনোয়ার

স্টাফ রিপোর্টার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে ভোটের লড়াইয়ে ফিরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সংগঠক আনোয়ারুল কবীর (রিন্টু আনোয়ার)। বুধবার দুপুরে (২০ ডিসেম্বর ২০২৩) বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো: বশির উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রিন্টু আনোয়ারের করা রিট শুনানী শেষে এই আদেশ দেন। হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের আদেশ বাতিল হওয়ার মাধ্যমে মনোনয়ন বৈধতা পায় তার। আদেশে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিন্টু আনোয়ারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রতিক বরাদ্ধ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

এর ফলে রিন্টু আনোয়ারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর বাধা রইলনা বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শহীদুল আলম ইমরান।


রিটকারীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী শেখ আলী আহম্মেদ খোকন। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও এডভোকেট শহীদুল আলম ইমরান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানী করেন ডক্টর মো: শহাজাহানের নেতৃত্বে আইনজীবী প্যানেল।

এডভোকেট শহীদুল আলম ইমরান জানান, আইনানুযায়ি রিন্টু আনোয়ার ৩০ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।  তবে ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের তথ্য না পাওয়ার কারন দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এমন সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন রিন্টু আনোয়ার। সেখানেও আবেদন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে যান।

উল্লেখ্য রিন্টু আনোয়ার এর আগেও ফেনী -৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করে আসছি, লেখালেখি, সাহিত্য চর্চা, এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে রাজনীতি এবং জনসেবার ব্রতকে সামনে রেখেছি সবসময়। আমার নিজের এলাকা দাগনভুঁইয়া-সোনাগাজীর মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আমার জীবনবাজি রেখে কাজ করতে চাই।'

তিনি আরো বলেন, 'এলাকার মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক, তারা আমাকে চান বলেই আমি নির্বাচন করতে এসেছি।'