পিএইচডিতে স্থগিতকৃত ইনক্রিমেন্ট চালুর দাবি রাবি শিক্ষক সমিতির

পিএইচডিতে স্থগিতকৃত ইনক্রিমেন্ট চালুর দাবি রাবি শিক্ষক সমিতির


জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি: 



পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য ইনক্রিমেন্ট প্রদান কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্থগিত হওয়ার সময়কাল থেকে চালুর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি। বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  ডিন’স  কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। 


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বোরাক আলী বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জনের জন্য অগ্রিম বেতনবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ১৪ অক্টোবর ২০২১ সালে ও ২৬ জুলাই ২০২২ স্মারকের প্রকাশিত বিবরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে ৩টি অগ্রীম বেতনবৃদ্ধির সুবিধা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে ‘ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে’ বলে জানানো হয়। 


তিনি আরো বলেন, সে সময় সরকারি কলেজের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে সংশোধনী প্রজ্ঞাপন (এস, আর, ও নং ২৪৯-আইন/২০২২ তারিখ: ১৮ জুলাই ২০২২) জারি করে তাদের পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৩টি অগ্রিম বেতন বৃদ্ধির সুবিধা ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে বহাল করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সেটি কার্যকর করা হয়নি। বিষয়টি এখন পর্যন্ত সমাধান না হওয়ায় পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয় শিক্ষক মহলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 


শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, এভাবে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়াটা অবিচার হয়েছে। কলেজ শিক্ষক সমিতির চিঠিতে বলা হয় এটি ২০১৫ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং সে অনুযায়ী তারা পেয়েও যাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের চিঠি ইস্যু হয় নি। 


তিনি আরো বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি আমাদের একটা  ঘেরাটোপে ফেলে দিয়েছে। এটি প্রবর্তিত হয়েছিল গবেষণাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। একদিকে গবেষণার কথা বলা হচ্ছে অন্যদিকে গবেষণা যারা করছে তাদের সামান্য তিনিটি প্রণোদনা সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে। এটা এক ধরনের দ্বৈত নীতি। মুখে এক ধরনের বলছেন কাজে আর এক রকম করছেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গবেষণাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মীর ইমাম ইবনে ওয়াহেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ এম এ ছালাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সুলতান মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সম্পদক অধ্যাপক ড. রফিকুল আহসান প্রমুখ।