চবির প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের তালা
চবি প্রতিনিধি: শিক্ষক সংকট, সেশনজট, ক্লাসরুম সংকটসহ নানা সমস্যার সমাধান চেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে তালাবদ্ধ করেছে স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ফটকে তালাবদ্ধ করে এবং শহরগামী আড়াইটার ট্রেনের চাবি নিয়ে ট্রেন আটকে দেয়।
স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ সফিউল্লাহ বলেন, 'আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও তারা সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান করেননি। আমরা আজকে সেশনজটে জর্জরিত, বিভাগ প্রতিষ্ঠার আট বছরেও আমরা একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডার পাইনি। নেই কোনো স্থায়ী শিক্ষক ও শ্রেণি কক্ষ। এইসব সমস্যার সমাধানের বিষয়ে উপাচার্য ঘটনাস্থলে এসে আশ্বাস না দিলে আমরা এখান থেকে সরবো না।'
স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর বলেন, আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক পাইনি। গেস্ট টিচার তো আর স্থায়ী টিচারের মতো কাজ করেন না। স্থায়ী শিক্ষক থাকলে বিভাগের সঙ্কটগুলো কাটানো যেত। বিভাগ চালু হলেও স্থায়ী কোনো বিল্ডিং ছিল না ।স্থায়ী ক্লাস রুমের বিষয়টা হুট করে বললেই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব না। বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করি অতি শীঘ্রই সব সমস্যার সমাধান হবে।
মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, 'যেখানে অন্যান্য বিভাগে ৪ বছরে অনার্স শেষ হয়ে যায় সেখানে আমাদের ৪ বছরে ৪ টা সেমিস্টার শেষ হয় না। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অনুষদের ডিনের কাছে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু কোন সুরাহা হয় নি। আমরা যখন প্রশাসনের দ্বারস্থ হই তখন তারা তাদের নানা ঝামেলার কথা আমাদের শোনান। এই বিভাগটির যাত্রা শুরু হয় সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখারউদ্দিন আহমেদের হাত ধরে কিন্তু এই পর্যন্ত আমাদের নির্দিষ্ট কোন অফিস রুম নেই। আবার আমাদের ক্লাস ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন নজর নেই।'
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইপ্তি বলেন, আমাদের ৮টি ব্যাচ এখনো মাস্টার্স শেষ করে বের হতে পারেনি। আমাদের নির্দিষ্ট কোনো ক্লাসরুমও নেই। আমাদের দাবি হলো সময়মতো পরিক্ষা নেওয়া, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম বলেন, আমাদের একটা ভবিষ্যৎ আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা বিভাগের জট নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখানেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে। তারা কি আমাদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে দিবে। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের একটুও মাথাব্যাথা নেই।