শেকৃবির প্রত্যেক বিভাগকে সেবার বিষয়ে জানাতে হবে

শেকৃবির প্রত্যেক বিভাগকে সেবার বিষয়ে জানাতে হবে

শাহাদত হোসেন

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) প্রত্যেক বিভাগ ও কার্যালয়কে তার সেবার তালিকা কার্যালয়ের সামনে ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক অলোক কুমার পাল। শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যাতে সেবা পেতে সুবিধা হয় সেজন্য এ নির্দেশ দেন তিনি। আজ বুধবার শেকৃবিতে অনুষ্ঠিত সিটিজেন চার্টার প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম।



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক অলোক কুমার পাল বলেন, প্রত্যেক বিভাগের সেবা গুলোকে প্রকাশ করা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। সিটিজেন চার্টার থেকে সহজেই বিভাগটির সেবা সম্পর্কে সেবা প্রার্থীরা জানতে পারে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সেবার মধ্যে অন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক সেবা এবং নাগরিক সেবা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাতিষ্ঠানিক সেবার পাশাপাশি নাগরিক সেবাও প্রদান করে যাচ্ছে। নাগরিক সেবা দিতে এবং ছাত্রদের আরও বেশি গবেষণালব্ধ তথ্য পেতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি ক্লিনিক তৈরি করেছি। ঢাকাবাসী পোষা প্রাণী সহ গবাদিপশুর সেবাও নিতে পারবে ভেটেরিনারি ক্লিনিক থেকে। এছাড়াও বহিরাঙ্গন বিভাগ কর্তৃক কৃষকদের বিভিন্ন কর্মশালা, শৌখিন মাস চাষের জন্যে বায়োফ্লক, পোল্ট্রি ফার্ম, ব্যাক্তিগত গবেষণা সহ বিভিন্ন ভাবে আমরা নাগরিক সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কোন ফাইল দ্রুত দেওয়া হয় এবং এগুলো আমরা মনিটরিং করি।

ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের শ্রুতিকাগার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে জ্ঞান সৃষ্টি করা হয় তা সংরক্ষণ, লালন এবং দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। এই সিটিজেন চার্টার কর্মশালার মাধ্যমে এগুলোর প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কে অবহিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বিশ্বর‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, উচ্চ শিক্ষায় আধুনিকায়ন এবং বিশ্বমানের গবেষনা নিশ্চিত করতে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে।