ঘুমাতে যাওয়ার আগের এই ৫ অভ্যাস আপনাকে সফল করবে
সকালের ভালো অভ্যাস যেমন দিনটিকে ইতিবাচকভাবে শুরু করতে সাহায্য করে, তেমনি দিন শেষের কিছু অভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাতের সময়টা সুচিন্তিতভাবে ব্যবহার করা হলে পরের দিনের সকালটা হয় আরও প্রাণবন্ত ও ফলপ্রসূ। সফল মানুষদের প্রতিটি দিন আগের দিনের চেয়ে আরও সফল করে তোলে এমনই কিছু সহজ সান্ধ্য–অভ্যাস, যা আপনিও গড়ে তুলতে পারেন।
১. পরের দিনের পরিকল্পনা করুন
ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুঠোফোন স্ক্রলিংয়ের বদলে সফল মানুষেরা প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট সময় দেন পরের দিনের পরিকল্পনা করতে। কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার পাবে, কী পরবেন, কোন মিটিং বা কাজ আগে করবেন—এসব ঠিক করে রাখেন তাঁরা। এতে মনের অগোছালোভাব ও উদ্বেগ কমে যায়, সকালে উঠে ঠিক কী করতে হবে, তা পরিষ্কার থাকে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপও কমে যায়, ফলে দিনের শুরুটা হয় চনমনে।
২. দিনটিকে পর্যালোচনা করুন, ভুল থেকে শিখুন
দিনের শেষে সফল মানুষেরা কিছু সময় নেন ভাবার জন্য। দিনটা কেমন গেল? কী ভালো হলো, কী ভুল হলো? নিজেদের কাজ বিশ্লেষণ করে তাঁরা ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেন, যাতে পরের দিন আরও ভালো করতে পারেন। এই আত্মপর্যালোচনা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, ছোট অর্জনগুলো উদ্যাপন করতে শেখায়। এর মাধ্যমে প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে উন্নত করতেও সাহায্য করে।
৩. স্ক্রল করে রাত গভীর করবেন না
ঘুমানোর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটালে নানা বিষয় মস্তিষ্ক উত্তেজিত করে ঘুমের ছন্দ নষ্ট করে। সফল মানুষেরা ঘুমানোর আগেই ফোন ও গ্যাজেট থেকে দূরে থাকেন। এর বদলে তাঁরা বই পড়েন, ধ্যান করেন, ডায়েরি লেখেন বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এই ‘ডিজিটাল বিরতি’ মনকে শান্ত করে, গভীর ঘুম আনে এবং সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
৪. ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন
উৎপাদনশীলতা কেবল কঠোর পরিশ্রমের ফল নয়, বরং বিশ্রামও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সফল মানুষেরা নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি মেনে চলেন, ঘুমের আগে শান্ত পরিবেশ তৈরি করেন এবং ক্যাফেইন ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলেন। এতে তাঁরা পান গুণগত ঘুম, যা পরের দিন মনোযোগ, সৃজনশীলতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. সফলতার কল্পনা করুন
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেক সফল মানুষ নিজের লক্ষ্য ও তা অর্জনের ধাপগুলো মনে মনে কল্পনা করেন। এই ‘ভিজ্যুয়ালাইজেশন’ বা মানসিক অনুশীলন আত্মবিশ্বাস ও প্রেরণা বাড়ায়। তাঁরা ভাবেন, আগামী দিনে কীভাবে একটি বড় প্রেজেন্টেশন সফল হবে, নতুন প্রকল্পে কেমন ফল মিলবে, কিংবা ব্যক্তিগত উন্নতি কোথায় সম্ভব। এই ইতিবাচক ভাবনা মনের ভেতর সফলতার মানচিত্র তৈরি করে দেয়। দিনের শেষটা এমন আশাবাদী চিন্তায় ভরিয়ে তুললে পরের দিন শুরু হয় নতুন উদ্যম ও স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে। সুত্রঃ প্রথম আলো
