শিক্ষার্থী নিহত ও ক্যাম্পাস বন্ধে বাকবিশিসের নিন্দা
স্টাফ রিপোর্টার :
কোটাবিরোধী আন্দোলন ও দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)। আজ (বুধবার) ভার্সুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান। বক্তৃতা করেন সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ ভাস্কর চন্দ্র দাস, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক সাবিহা সালাহউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকমল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহেদ মিয়া, অধ্যাপক ভবরঞ্জন বণিক, অধ্যাপক তড়িৎ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক ঈশ্বর চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যাপক রওশানুল কাউসার সংগ্রাম, অধ্যক্ষ আলম আকতার, অধ্যাপক মোনাব্বর হোসেন, অধ্যক্ষ নুরুল আবছার, অধ্যাপক আশুতোষ রায় প্রমুখ। সভায় গত ১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনায় ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় এবং জড়িতদের বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি দাবি করা হয়। সংবিধানের আলোকে যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে সভায় আরো উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনলারীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার একটি বাক্যকে কেন্দ্র করে নিজেদের 'রাজাকার' বলে স্লোগান দেয়। এটা শুধু গর্হিত কাজ নয়, লাখো শহিদ ও বীর মুক্তিযাদ্ধাদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণও বটে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই শ্লোগান কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ সময় বক্তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনকে ব্যবহার করার জন্য সভায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আরো দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত বলে সকলে মত প্রকাশ করেন। বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক তড়িঘড়ি করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণাকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি হঠকারী ও অনাকাঙ্ক্ষিত হস্কক্ষেপ উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে উচ্চ শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হবে। সভায় বর্তমান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।