ভর্তি বাতিল চান অনিয়মে অতিষ্ঠ চবি শিক্ষার্থী
নাজমুস সাকিব হৃদয়, চবি প্রতিনিধি: অফিস স্টাফদের অপেশাদার আচরন ও বিভাগের নানা অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে নিজের ভর্তি বাতিল করতে চান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী। ।
তবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই সে এমনটি করেছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মর্নিং নিউজের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে ইংরেজি মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো: নুরুদ্দীন শহীদ তার ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানান। এর দুইদিন আগে ১৩ ডিসেম্বর ইংরেজি বিভাগের সভাপতির মাধ্যমে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সমন্বয়ক বরাবর ই-মেইলে ভর্তি বাতিলের আবেদন করেন তিনি।
নুরুদ্দীন শহীদ ঢাকা মর্নিং নিউজকে বলেন, 'অনেক স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তবে অতীব পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এখানে সেই স্বপ্নগুলো মূল থেকেই উপড়ে ফেলা হয়। ৪ বছরের স্নাতক কোর্সে শিক্ষার্থীদের সময় চলে যায় ৭ বছর। পরিশেষে চরম হতাশা নিয়েই শতশত শিক্ষার্থীদের প্রস্থান করতে হয়। বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার, হীন এবং অসহযোগিতামূলক আচরণের ব্যাপারে দীর্ঘদীন যাবত লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি।'
তিনি বলেন, 'বারবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটা এমনকি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনকে বিরক্তিকর ভাবা ইত্যাদি কারণে আমি অত্র বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণি থেকে আমার ভর্তি বাতিল করতে মনস্থির করেছি। তবে বিদায়ের এই ক্ষণে নীতি নির্ধারকগণের প্রতি অনুরোধ থাকবে; ইংরেজি বিভাগের অরাজকতার এই বলয় ভেদ করতে যেন তারা সচেষ্ট হয়। শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে পরম যত্নে লালিত স্বপ্নগুলোকে যেন দুষ্টচক্রের কবলে পড়ে নিঃশেষ হতে না হয়।'
তিনি বলেন, আমার এই আবেদন প্রতীকী প্রতিবাদ। বিভাগের এসব আচরণে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ ও বিক্ষোব্ধ। আমরা সব অনিয়মের সুষ্ঠু সুরাহা চাই।'
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, 'এইরকম তো কোনো কিছুই হয়নি। কিছুদিন আগে অফিসের এক স্টাফের সাথে তার একটু ঝামেলা হয়। আমি নিজেই বিষয়টা সমাধান করেছি। আমরা এখন সাত আট মাসেই পরীক্ষা নিচ্ছি। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বিসিএস দেওয়ার জন্য নিজেরাই পরীক্ষা পিছাতে বলেছে। অবরোধের মধ্যেও বিভাগে নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে সে কোনো ইস্যু করছে।
আবার এটাও হতে পারে মিডিয়ার লাইমলাইটে আসার জন্য এগুলো করছে। যদি আসলেই এমন হয়ে থাকে সাংবাদিকরাসহ সে আসুক কোথায় কী সমস্যা প্রমাণ দিক। ছেলেটার এমন আচরণে আমি শকড। আমার খুব দুঃখ লাগল। সে তো আমার কাছে আসতে পারত। সম্ভবত পারিবারিক বা অন্যকোনো কারণে মানসিক সমস্যায় আছে।'