চাপে মার্কিন ডলার

চাপে মার্কিন ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ফলে আগামী জুনেই সুদের হার কমাতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এতে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মান কমেছে। আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার জনে। আগের মাস জানুয়ারিতে যা ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার জন। তবু দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। 

এ প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে ইউরোর দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির দর স্থির হয়েছে ১ ডলার ০৯৪ সেন্টে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গত ২২ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের পর যা সর্বোচ্চ। জাপানি মুদ্রার মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়ে গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। প্রতি ডলারের দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৪৭ দশমিক ০৫ ইয়েনে। গত ২ ফেব্রুয়ারির পর তা সবচেয়ে বেশি।

পাউন্ডের দর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ। ব্রিটিশ মুদ্রাটির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ ডলার ২৮ সেন্টে। গত জুলাইয়ের শেষ দিকের পর যা সর্বাধিক। অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ। প্রতি অসি কারেন্সি বিক্রি হচ্ছে শূন্য দশমিক ৬৬ ডলারে।

বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইক্যুয়িটি ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টুয়ার্ট কোলে বলেন, কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ থেকে সরে আসছে ফেড। শিগগিরই সুদের হার কমাতে পারে তারা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। ফলে চাপে পড়েছে ইউএস ডলার। সামনে দিনে আরও পতন ঘটতে পারে।

সুত্রঃ channel24bd.tv