বেরোবিতে গাঁজার আসরের প্রতিবাদে রিডিং রুম বর্জন

বেরোবিতে গাঁজার আসরের প্রতিবাদে রিডিং রুম বর্জন

বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে রিডিং রুমের পাশেই ছাত্রলীগ কর্মীর গাঁজা ও উচ্চস্বরে গান বাজনার আসরের প্রতিবাদে রিডিং রুম বর্জনের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রিডিং রুমে না যাওয়ার ঘোষণা দেন।


শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুমের সামনে অবস্থিত ২০৪ নং কক্ষে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানো, গাঁজাসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা নিত্যমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রুমের বাসিন্দাদের সাথে বহিরাগতরাও এসে মাদক সেবন করে। মাদকসেবনের সময় তারা উচ্চস্বরে গানবাজনা করে। এতে ওই রুমের সামনে অবস্থিত রিডিং রুমের শিক্ষার্থীদের পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয়। শিক্ষার্থীরা একাধিকবার অসুবিধার বিষয়টি জানিয়ে অনুরোধ করলেও ছাত্রলীগ কর্মীরা উল্টো সেখান থেকে রিডিং রুম সরিয়ে নিতে বলে। 


শিক্ষার্থীরা আরো জানান, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টায় ওই রুমে প্রতিদিনের মতো গাঁজার আসর বসলে উৎকট গন্ধে এবং উচ্চস্বরে গানবাজনায় পড়তে অসুবিধা হয় শিক্ষার্থীদের। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে হইচই করতে নিষেধ করলে তারা শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে মারার জন্য তেড়ে আসে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসলে তারা রুমে চলে যায়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করে এবং পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রিডিং রুম বর্জন করার ঘোষণা দেয়। 


বঙ্গবন্ধু হলের ২০৪ নং কক্ষে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি শামীম গ্রুপের কর্মী আলিফ ও এই বিভাগের আলামিন। তাদের সাথে প্রতিরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের কিছু সংখ্যাক শিক্ষার্থী ও বহিরাগত এসে যোগ দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


রিডিং রুমে পড়তে আসা স্বাধীন সরকার বলেন, প্রতিদিন ২০৪ নং রুম থেকে গাঁজার গন্ধ আসে। ওই রুমের অবস্থানরতরা রিডিং রুমে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এতে আমাদের পড়ার মনোযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা হল প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই। সেই সাথে রিডিং রুমে পড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই।


তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সেক্রেটারি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে ঢাকা মর্নিং নিউজকে জানিয়েছেন।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট ড. বিজন মোহন চাকি বলেন, আমি ঘটনাটি রাতেই জেনেছি। অভিযোগ পেলে আমি প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।