নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ, বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ, বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্য হলেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ)। এছাড়া সদস্য সচিব করা হয়েছে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীকে। কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থাপন শাখার উপ রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল।


রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী ও উপ রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ এ তথ্য জানানো হয়। 


অফিস আদেশে বলা হয়, 'দুর্নীতি দমন কমিশনের পত্রের সাথে সংযুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত তাবিউর রহমান প্রধানের প্রভাষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে দালিলিক প্রমাণ এবং মহামান্য হাইকোর্টে মাহমুদুল হক কর্তৃক দাখিলকৃত রীট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক জারিকৃত রুল ও আদেশ অনুয়ায়ী দফাওয়ারী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত বক্তব্য চেয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পত্র প্রেরণ করে। এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের নিমিত্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়।'


অফিস আদেশে কমিটিকে তথ্য অনুসন্ধান পূর্বক দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।  


প্রসঙ্গত, এগারো বছর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষকের বিষয়ে জানতে চেয়ে গত ৮ জানুয়ারি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বর্তমানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত তাবিউর রহমান প্রধান প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান ২০১২ সালে। পরবর্তীতে দুই দফায় পদোন্নতিও পেয়েছেন। তবে পদোন্নতিতেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। অনিয়মের দাবি তুলে ইউজিসিতে অভিযোগ করেন নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক মাহমুদুল হক। 


ইউজিসির উপ-সচিব মো. গোলাম দস্তগীর স্বাক্ষরিত এক পত্রে অভিযোগের বিষয়ে দালিলিক প্রমাণাদিসহ দফা-ওয়ারী লিখিত বক্তব্য ও উক্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনের বিপরীতে উচ্চ আদালতের জারিকৃত রুল ও আদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের হালনাগাদ তথ্য সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রেরণ করতে বলা হয়।