গাজায় হাসপাতালে হামলা: বাইডেনের সঙ্গে আরব নেতাদের বৈঠক বাতিল

গাজায় হাসপাতালে হামলা: বাইডেনের সঙ্গে আরব নেতাদের বৈঠক বাতিল

ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন আরব নেতারা। 


বুধবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 


ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে মিত্র ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন আজ ইসরায়েল সফরে যাওয়ার কথা বাইডেনের। এ সফর শেষে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল বাইডেনের। সেখানে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।


তবে হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার জর্ডান জানায়, বাইডেনের সঙ্গে তিন আরব নেতার যে নির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা আর হচ্ছে না। গাজার হাসপাতালে হামলার প্রতিবাদে জর্ডান বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত এ বৈঠক বাতিল করেছে।


বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়ে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া এখন আর আলোচনা করে কোনো লাভ নেই।’


এদিকে জর্ডানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগেই বাইডেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ঘোষণার পরপরই তিনি আম্মান থেকে পশ্চিম তীরের রামাল্লার উদ্দেশে রওনা হন।


গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলার ঘটনায় ফিলিস্তিনে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।


এদিকে আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় হতাহতের ঘটনায় ‘ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে দুঃখিত’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন তিনি।


মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৫০০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।


আল-আহলিল আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।


গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের উপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।


এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের নিক্ষেপ করা রকেট ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।