'সরকার জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে প্রতিশোধ নিচ্ছে'
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: 'দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দিতে না যাওয়ায় ডামি সরকার এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের যখন চরম দুরাবস্থা তখন মন্ত্রী এমপি’রা নানা চটুল কথা বলে উপহাস করছে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের প্রতিশোধ নিচ্ছে।'
আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি ঘোষিত মাসব্যাপী গণ-ইফতার কর্মসূচির তৃতীয় দিনের বক্তব্যে দলের নেতারা এসব মন্তব্য করেন।
দলের সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসানের সঞ্চালনায় গণ-ইফতারে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা পুরুষ হাজী শরীয়তুল্লাহ ও দুদু মিয়ার উত্তর পুরুষ, মাদারীপুর জেলার বাহাদুরপুরের পীরজাদা হাফেজ মাওলানা মোঃ হানজালা।
তিনি বলেন, 'যে ভারতবর্ষে হাজী শরীয়াতুল্লাহর নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, খাজা সলিমুল্লাহর মত নওয়াবের দান করা জমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছিল সেখানে ইফতার মাহফিলে হামলা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। বাংলাদেশ আমাদের পূর্বপুরুষদের উত্তরাধীকারের দেশ, এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোন কাজ জনগণ ও আমরা সহ্য করব না।'
এবি পার্টির যুগ্ন-আহ্ববায়ক এডভোকেট ত্যাজুল ইসলাম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারী করে সারাদেশে ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করেছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সার্কুলার দিয়ে ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, যেসব ঈমানদার যুবকেরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজ খরচে ইফতারের আয়োজন করেছে তাদের মসজিদ থেকে বের করে মারধোর করেছে ছাত্রলীগ। স্বাধীন বাংলাদেশে এটা অকল্পনীয়।এসব করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এই সরকার এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষনা করেছে। কিন্তু এদেশের কোটি কোটি মানুষ আওয়ামীলীগের এই অপতৎপরতা রুখে দিতে বদ্ধ পরিকর।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ইসলাম ভূইয়া, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল হাসান রিপনসহ রাজনৈতিক নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যানে মোনাজাত পরিচালনা করেন নবাব সলিমুল্লাহ এবং হাজী শরীয়তুল্লাহর উত্তর পুরুষ হাফেজ মাওলানা জিয়াউদ্দীন তোহা।