'বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থেকে এত ছোট অনিয়ম কীভাবে করতে পারি'
চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি)উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনকে অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছেন।
রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার শিক্ষক সমিতির উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন ও ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগকে অপপ্রচার ব্যক্তিস্বার্থের আন্দোলন বলে আখ্যা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড.শিরীন আখতার বলেন, 'আপনারা রসায়ন বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আন্দোলন
সম্পর্কে অবহিত আছেন। জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অভিযুক্ত অধ্যাপককে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়েছে।'
উপাচার্য বলেন, 'এই আন্দোলনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একাংশ প্রশাসন ও ভিসি এবং প্রভিসির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দায়ের করেছে তা একদমই ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয় নৈতিকতার সর্বোচ্চ স্থান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থেকে আমরা কিভাবে এত ছোট ছোট অনিয়ম করতে পারি তা মাথায় আসে না।'
তিনি আরো বলেন, 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার পর থেকে সম্ভবত ১০০ এর অধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। এনাদের প্রত্যেকেই ছিল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। তবে ব্যতিক্রম দু একটা নিয়োগে ডিপার্টমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছাড়াও আমরা কয়েকজনকে নিয়োগ দিয়েছি।'
উপাচার্য আরো বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রতিবাদ বা আন্দোলন পরিচালনা করা হলেও আমি দৃঢ় চিত্তে বলতে চাই, ১৯৭৩ সালের চবি আইন অনুযায়ী সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতির নির্ধারণী এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে সর্বোচ্চ দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষদ। যদি সত্যিই কোন নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে থাকে, শিক্ষক সমিতির সিন্ডিকেটের কাছে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি করে বা পক্ষ চাইলে দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। সেটা না করে আমার কার্যালয়ে ঘেরাও করা এবং পরবর্তীতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা থেকে প্রতিয়মান হয় যে নিয়ম অনিয়ম নয় তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরীর মধ্য দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করা।' বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থেকে আমরা কিভাবে এত ছোট ছোট অনিয়ম করতে পারি তা মাথায় আসে না।'