'দেওবন্দ মাদরাসা সত্যের মাপকাঠি'

'দেওবন্দ মাদরাসা সত্যের মাপকাঠি'

ডেস্ক রিপোর্ট: দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসা ও দেওবন্দ মাদরাসা থেকে পাস করা আলেমরা বর্তমান জামানার মিয়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম ও বিতর্কিত মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।


তিনি বলেন, মূলত সাহাবায়ে-কেরাম হলেন সত্যের মাপকাঠি, হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্যকারী এবং কুরআন-সুন্নাহের প্রকৃত অনুসারী। তবে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক যামানায় উম্মতকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য কিছু সংখ্যক মানুষকে সত্যের মাপকাঠি হিসেবে বানিয়ে থাকেন। এ হিসেবে আমাদের এই জামানায় দারুল উলূম দেওবন্দ ও উলামায়ে দেওবন্দ হলেন সত্যের মাপকাঠি।


বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাবর্ষের ইফতাহি দারসে মাওলানা মাসঊদ এসব কথা বলেন।


ইলমে দ্বীনের সম্পর্ক ওহীর সাথে জানিয়ে তিনি বলেন, দুনিয়াতে যে ইলম, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রচলিত আছে, এইগুলোর সম্পর্ক হয়তো আকলের সাথে, বুদ্ধির সাথে, মেধার সাথে। না’হয় এর সম্পর্ক মানুষের অভিজ্ঞতার সাথে। না’হয় উপলব্ধির সাথে। আমরা বর্তমানে যত জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা দেখি, সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান এই তিন ভাবে মানুষ অর্জন করেছে। তবে আমরা যে ইলমের তলবে, অন্বেষায়, সন্ধানে জামিআ ইকরায় এসেছি, এটা এমন এক জ্ঞান, এমন এক ইলম, যার সঙ্গে আকলের কোন সম্পর্ক নেই। এর সম্পর্ক ওহীর সাথে। কারণ আকল দিয়ে কেউ একটা কুরআনুল কারীম বানাতে পারবে না।


কুরআনুল কারীমের পরেই হাদীস শরীফের মর্যাদা উল্লেখ করে শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম বলেন, আল্লাহ তাআলা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য কুরআনুল কারীম অবতীর্ণ করেছেন এবং এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের দায়িত্ব তিনি নবী করীম সাল্লাাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাঁধে অর্পণ করেছেন। আর কুরআনুল কারীমের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকেই হাদীস বলা হয়। সুতরাং কুরআনুল কারীমের পরেই হাদীস শরীফের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি।


ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আল্লাহ তায়ালাকে জানতে হলে, বুঝতে হলে কুরআনুল কারীম জানতে হবে, বুঝতে হবে। আর কুরআন বুঝতে হলে নবী করীম সা. সম্পর্কে জানতে হবে, তাঁর হাদীস জানতে হবে, বুঝতে হবে। আর হাদীস জানা ও বুঝার মাধ্যম সাহাবায়ে কেরাম।


ইলমে ওহী হাসিল করতে হলে সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণ করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইসলামের সঠিক পথ নির্ণয়ের মাপকাঠি হলো সাহাবায়ে কেরাম অনুসৃত পথের অনুসরণ। কারণ তারা ছিলেন মাহফুজ, অর্থাৎ তারা ভুল করে ভুলের উপর অটল-অবিচল ছিলেন না, বরং তওবা করেছেন এবং আল্লাহ তাআলাও তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুতরাং ইলমে ওহী হাসিল করতে হলে সাহাবায়ে কেরামের সম্পর্কে জানতে হবে, তাদের অনুসরণ করতে হবে. তাদের দেখানো পথে হাঁটতে হবে।


ইফতাহি দারসে উপস্থিত ছিলেন জামিআ ইকরা বাংলাদেশের রঈস মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মুহতামিমে তা’লিমাত মাওলানা হুসাইনুল বান্না, মুফতী আব্দুর রহীম কাসেমী, মুফতী ফয়জুল্লাহ আমান কাসেমী, মুফতী সাইফুল ইসলাম, মুফতী আমিনুর রহমান কাসেমী, মুফতী হামীদুর রহমান, মুফতী মুহাম্মদুল্লাহ ইয়াহইয়া, মুফতী রিয়াজুল ইসলাম, জামিআর পরিচালক প্রশাসন ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা জুনুদ উদ্দীন মাকতুম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মুফতী আব্দুস সালাম, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ, মাওলানা যোবায়ের হাসান প্রমুখ।


সুত্রঃ patheo24.com