'এই সরকারের প্রধান কাজ জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে নতুন সংবিধান প্রণয়ন'
১৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে লেখক-সাংবাদিকদের সৃষ্টিশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে লেখক সাংবাদিকদের ভুমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আজ এ আহ্বান জানান এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। সাংবাদিক আব্দুর রহমান মল্লিকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক সৈয়দ তোশারফ আলী, সাংবাদিক নেতা কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম. আব্দুল্লাহ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক কবি শামীমা চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক আহমেদ মতিউর রহমান, কবি ও লেখক ফজলুল হক খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ পলি, সিনিয়র সাংবাদিক নাসরিন গীতি প্রমূখ।
প্রবীণ লেখক সৈয়দ তোশারফ আলী বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। আমরা একে স্বাগত জানাই সাথে সাথে এটাও বলতে চাই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দূর্নীতি। দূর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নিলে রাষ্ট্রের বেশির ভাগ সমস্যা সমাধান হবে। আমরা যদের ব্যাপারেই আজ কথা বলছি এমনকি সাংবাদিক, লেখক, কবি সাহিত্যিক সহ সবাই যারা স্বৈরাচারের দোসরের ভুমিকা পালন করেছে এর মৌলিক কারণ সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশা মুল কথা অবৈধভাবে ক্ষমতা, বাড়ি, গাড়ি সম্পদের মালিক হওয়া। দেশ তখনই সঠিকভাবে চলবে যখন আইনের শাসন, ন্যায় বিচার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এটা কাগজ কলমে নয়, বাস্তবিক অর্থেই সরকার করবে। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে সঠিকভাবে চালাতে হলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা যারা সাংবাদিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক আছি, যারা চাই দেশটা ভালে চলুক, মানুষ অধিকার পাক, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক তাদেরও সঠিক ভুমিকা রাখতে হবে। সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে হবে। সত্য লিখতে হবে। ব্যাক্তি বা দলীয়স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে রাষ্ট্রকে কোন সময়ই সঠিকভাবে চালানো সম্ভব নয়।
কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, শেখ মুজিব সংগ্রামী নেতা হলেও তিনি বড় মাপের ফ্যাসিবাদের প্রতিক। দূর্ভাগ্যের বিষয় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরও ফ্যাসিবাদের এই প্রতিক উপদেষ্টাদের মাথার উপর ঝুলছে। তারা সাংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, এই সরকার গনঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী সরকার। এই সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ এই সংবিধানকে ফেলে দিয়ে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন রেখে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। কারণ এই সংবিধান দেশের ছাত্র- জনতার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেনা।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু উপস্থিত লেখক ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারা এই দেশ, এই সমাজের আয়না। একটি ফ্যাসিবাদি সরকার সমাজে এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলো যে আজ সাংবাদিকদের দেশছেড়ে পালিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরাতো এমন দেশ চাইনা যেখানে সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক বা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে পালিয়ে যেতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমরা লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের কাছে নতুন করে দেশ গড়ার সঠিক ভুমিকা চাই। আমরা চাই বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে আপনারা সৃষ্টিশীল দৃঢ় ভূমিকা রাখুন, আমরা সার্বিক সহোযোগিতা করবো।'
মতবিনিময় সভায় দেশের স্বনামধন্য সাংবাদিক, লেখক ও কবি সাহিত্যিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।