'মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ভুলুণ্ঠিত করে আওয়ামী লীগ জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে'
প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ঢাকা:
পাকিস্তানী শোষন জুলুম ও অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিজয় অর্জিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ তা ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।
নেতারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকার ভুলুণ্ঠিত করে আওয়ামী লীগ জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ফলে এখনও বাংলার মানুষ প্রকৃত অর্থে পরাধীন ও শোষন বৈষম্যের শিকার।
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এবি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন মাহমুদ।
এর আগে সকাল ১১ টায় এবি পার্টির নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক ও সরকারী সদস্যসচিব আলতাফ হোসেইনের নেতৃত্বে দলের নেতা কর্মীরা পুস্পস্তবক নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুস্পবেদীতে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ বলেন, '১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকার সর্বত্র নিরস্ত্র মানুষ মেরে আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলো। ২৬ মার্চে আমরা বের হয়ে যখন রাস্তায় নারী শিশুর রক্ত দেখেছি তখন বুঝেছি আর পাকিস্তান মেনে নেয়া যাবেনা। '
তিনি বলেন, 'আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্রই করুন না কেন এটা সিকিম নয় ভুটান নয়, এটা বাংলাদেশ। কোন ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা। প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ হবে, সেই যুদ্ধে প্রথম আমরা রক্ত দিবো, বাংলাদেশকে আবার মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।'
তিনি গণ ইফতারের উদ্যোগের জন্য এবি পার্টিকে ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন; '৬২, ৬৯ ও ৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে শ্লোগান ও দাবি তুলেছিল, দূঃখজনকভাবে এখন আমাদেরকে আওয়ামী স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে একই দাবি তুলতে হচ্ছে। পাকিস্তানী জান্তারা যেভাবে গুলি করে নিরীহ মানুষ মেরে তাদের মসনদ রক্ষা করতে চেয়েছিল, বর্তমান আওয়ামী শাসক গোষ্ঠীও একই কায়দায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে নির্দয়ভাবে গুলী করে মানুষ মারছে। সুতরাং আবারও জনগণকে ৭১ এর মত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আওয়ামী হানাদারদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।'
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশের বহু মানুষ আজ কষ্টে আছে। নানা সমস্যা নিয়ে দুঃখে জীবন যাপন করছে। একেক মানুষের সমস্যা একেক রকম। আমাদের অনেক তরুণ তরুণী ভাই কষ্টে নানা ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা তরুণ ভাই বোনদের বলতে চাই, কষ্টে জীবন নষ্ট করলে চলবেনা। কষ্টকে শক্তিতে পরিণত করে আমাদের জীবন সংগ্রামের নতুন লড়াই শুরু করতে হবে।'